রিজার্ভ চুরিকে পাশে রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একমত ঢাকা-ম্যানিলা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আটকে ছিল বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার সম্পর্ক। এ বিষয়টি পাশে রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একমত ঢাকা ও ম্যানিলা। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্য দীর্ঘ ছয় বছর পর তৃতীয় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে দুই দেশ সার্টিফিকেট স্বীকৃতি সংক্রান্ত সমুদ্র সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ছয় বছর পর গতকাল সোমবার ম্যানিলায় বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে তৃতীয় এফওসি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের দুটিভাগেই বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম।আর ফিলিপাইনের পক্ষে যৌথভাবে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি (পলিসি) এইচ.ই.মা. হেলেন বি. দে লা ভেগা এবং আন্ডার সেক্রেটারি (মাইগ্রেশন) এইচ.ই. লিও এম. হেরেরা-লিম।বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। ফিলিপাইনের প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র দপ্তর, বিচার বিভাগ, কৃষি, অভিবাসন, উচ্চ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, বিনিয়োগ বোর্ড, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল এবং বেসামরিক বিমানের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। আরও পড়ুন: মার্কিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি মারা গেছেনবৈঠকটি উষ্ণ, গঠনমূলক এবং ভবিষ্যৎমুখী পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষ দ্বিতীয় এফওসির পর থেকে অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সাইবার-নিরাপত্তা, ব্লু ইকোনমি, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, সংস্কৃতি, প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা স্টাফ কলেজগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ, শ্রম এবং অভিবাসন প্রশাসনে গভীর সহযোগিতার সুযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে ফিলিপিনো বিনিয়োগ এবং আশিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করেছে ঢাকা। উভয় পক্ষ আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়ে পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলোও আলোচনা করেছে, যার মধ্যে রোহিঙ্গা সংকটও আলোচনায় এসেছে।বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে এসটিসেডাব্লু কনভেনশন, ১৯৭৮ (সংশোধিত) এর অধীনে সার্টিফিকেট স্বীকৃতি সংক্রান্ত সামুদ্রিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এতে সই করেন সচিব নজরুল ইসলাম। আর ফিলিপাইনের পক্ষে সই করেন মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি অথরিটির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সোনিয়া বি. মালাসুয়ান।




